খবরাখবর

শাহজাদপুরে প্রেমের টানে ছুটে এসেছেন তুরস্কের এক যুবক 

আজিজুর রহমান মুন্না, সিরাজগঞ্জ: প্রবাদে আছে প্রেম মানে না কোন বাধা। তাইতো এক তরুণীর প্রেমের টানে তুরস্ক থেকে সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিয়ে বদ্বীপ বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন মোস্তফা ফাইক নামের এক যুবক। তিনি তুরস্কের ইস্তাম্বল শহরের বাজলাল শহরের বাসিন্দা। আর মল্লিকা নামের কলেজ পড়ুয়া ওই তরুণীর বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের কাকিলামারি গ্রামে।

তিনি ওই গ্রামের দলিল লেখক কামরুজ্জামান মানিকের মেয়ে। যুবক মোস্তফা ফাইক একাই আসেননি সাথে নিয়ে এসেছেন তার মামা মুছাকে। গত ২ নভেম্বর শনিবার তিনি শাহজাদপুরে ওই তরুণী’র বাড়িতে আসেন। এরপর দুই পরিবারের সম্মতিতে তারা মুসলিম রীতিতে বিয়ে করেন।

মল্লিকা জানায়, ৩ বছর আগে  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্ট্রাগ্রামে নিজের আইডিতে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেন। সেই ছবি দেখে পছন্দ করে ফেলেন তুরস্কের যুবক মোস্তফা ফাইক। এরপর থেকে তাদের মধ্যে শুরু হয় ভাবের আদান প্রদান। তা গিয়ে দাড়ায় প্রেমের সম্পর্কে। দীর্ঘদিনের সেই প্রেমের পরিণতি দিতে সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গত শনিবার (২ নভেম্বর) বাংলাদেশে আসেন তুরস্কের যুবক মোস্তফা ফাইক।

অবশেষে সোমবার(৪ নভেম্বর)  দুই পরিবারের সম্মতিতে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। মল্লিকাকে সঙ্গে নিয়ে যেতে ভিসা প্রসেসিংয়ের তোরজোর চলছে। সকল প্রক্রিয়া শেষ হলে তারা তুরস্কে পাড়ি জমাবেন বলে জানান তারা।

এ বিষয়ে মোস্তফা ফাইক বলেন, তিনি বাংলাদেশে এসেছেন শুধু প্রেমের টানে। তাই দুই পরিবারের সম্মতিতে তিনি বিয়েও করেছেন মল্লিকাকে। তাকে বিয়ে করতে পেরে তিনি খুবই খুশি ও আনন্দিত। সেই সাথে বাংলাদেশের মানুষ ও প্রকৃতি তাকে খুবই মুগ্ধ করেছে বলে জানান তিনি।

এদিকে মল্লিকা তার অনুভ’তি জানাতে গিয়ে বলেন, তিন বছরের সম্পর্ক বিয়েতে পরিণতি পাওয়ায় আমি খুবই খুশি ও আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছি। ভিসা প্রসেসিং শেষ হলেই আমরা তুরস্কে পাড়ি দেব। অপরদিকে, মল্লিকার মা ও স্বজনেরা এমন বিয়ে মেনে নিয়ে তারাও আনন্দ উচ্ছ্বাস  প্রকাশ করেছেন।

তাদের এই বিয়ের খবরে এলাকাবাসী ছুটে এসে মল্লিকার বাড়িতে ভীড় জমাচ্ছেন তুরস্কেও ওই যুবককে একনজর দেখতে। ফলে আত্মীয়- স্বজন ও প্রতিবেশিদের  পদচারণায় বাড়িটি মুখোর হয়ে উঠেছে।

Please follow and like us:

Related Articles

Back to top button