শহীদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর জানাযায় হামলা-বাধা ঘটনায় সাবেক এমপি ও মন্ত্রীর নামে মামলা
নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দলের সাবেক স্থায়ী কমিটির সদস্য শহীদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর জানাযায় হামলা ও বাধা দেওয়ার ঘটনায় দীর্ঘ ৯ বছর পরে রাউজান থানায় মামলা হয়েছে।
এই মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে চট্টগ্রামের আওয়ামীলীগ সরকারের সাবেক দুই মন্ত্রী ও এক এমপির বিরুদে।
রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করমি চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া সাবেক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও হাটহাজারীর সাবেক এমপি ব্যারিষ্টার আনিসুর ইসলাম মাহমুদসহ ৫৩ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে।
এছাড়া এই মামলায় আরও অজ্ঞাত ১০০/১৫০ জনতে আসামী করা হয়েছে। (৩ নভেম্বর) মো: আব্দুল মালেক নামে রাউজান থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, মরহুম সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদি সরকার একটি মিথ্যা ও সাজানো অপরাধে ঢাকার কাশিমপুর কারাগারে ফাঁসির কার্যকর করলে সারাদেশের মানুষের মতো মামলার বাদী প্রচন্ডভাবে মর্মাহত এবং শোকাহত হয়ে পড়েন।
তিনি পরে জানতে পারেন সালাউদ্দিন কাদেও চৌধুরীকে রাউজানের নিজ বাড়ি গহিরা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করবেন।
সেই সংবাদ পেয়ে গত (২২/১১/২০১৫) সকালে বাদী হাটহাজারি থেকে জানাযায় অংশ নিতে সিএনজি করে রাউজানের গহিরার উদ্দেশ্যে।
এসময় তিনি দেখতে পান যেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর জানাযায় সাধারণ মানুষ কেউ অংশ গ্রহণ করতে না পারে আওয়ামীলীগের এবং অঙ্গ সংগঠনের শত শত নেতাকর্মীরা দা, কিরিচ, দেশীয় অস্ত্র এবং আগ্নেয়ান্ত্রে নিয়ে গহিরার বিভিন্ন গুরুপূর্ণ জায়গায় সাধারণ মানুষের উপর নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছেন।
এসময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন গাড়িতে হামলা করছেন, ককটেল ও বিভিন্ন বিস্ফোরন করে জনমনে ভীতি এবং আতংক তৈরি করতে থাকেন। এবং কি সন্দেহ হলে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করেন বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহাবুবুর রহমান বলেন, সেইদিনের ঘটনায় এমপি ও মন্ত্রীসহ ৫৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে।
এছাড়া আরও অজ্ঞাত ১০০ হতে ১৫০ জনকে আসামী করা হয়েছেন। মামলাটি পুলিশ তদন্ত শুরু করছে।