বিগত সরকারের ভ্রান্তনীতিতে কৃষি অলাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে: হাসান জাফির তুহিন
চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন বলেছেন, বিগত সরকারের ভ্রান্তনীতির কারণে কৃষি পেশা এখন অলাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে।
গত ১৭ বছরে দেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকেরা। কৃষকের মুখে হাসি ছিল না। কৃষকরা উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউড়ি দলীয় কার্যালয়ের সামনে নুর আহম্মেদ সড়কে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কৃষক দলের আনন্দ র্যালি পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসান জাফির তুহিন আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে অন্যান্য সেক্টরের ন্যায় কৃষি সেক্টরকে ধ্বংস করার মাধ্যমে কৃষকদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি কৃষিবান্ধব স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করা হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর কৃষক দলের আহবায়ক মুহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে এবং কৃষক দলের বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অথিতি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা.শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ, সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান। এতে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কৃষক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ।
চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা.শাহাদাত হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা চলে গেলেও ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়ে যায়নি।ফ্যাসিবাদের দোসররা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার পায়তারা চালাচ্ছে। ষযড়যন্ত্র কারীদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে। তারা যেন সফল হতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৭ বছর গোটা জাতিকে নির্যাতন করেছে। গণতন্ত্রের মতো দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। ব্যাংক, বীমা সহ লাভজনক সকল প্রতিষ্টান ধ্বংস করে দিয়েছে। সবক্ষেত্রে দুর্নীতির হিমালয় বানিয়েছে।তারা আবারও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চাই। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে এডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ বলেন, বিগত ১৭ বছর বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত সরকার দেখতে পারেনি। বিনা ভোটে অবৈধভাবে আওয়ামী লীগ সরকার রাজত্ব করেছে। ক্ষমতায় থাকাকালীন তারা সব সেক্টরে লুটপাট করেছে। দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। দেশের গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে। দেশের মানুষকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কাজ করে যাচ্ছেন।
বক্তব্য রাখেন কৃষক দলের বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রশিদ দৌলতি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মহসিন চৌধুরী রানা, উত্তর জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক বদিউল আলম বদরুল, মহানগর কৃষক দলের সদস্য সচিব সাবের আহমেদ টারজেন, দক্ষিণ জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মীর জাকির হোসেন, উত্তর জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব নাজিম উদ্দিন শাহিন, ইয়াসিন রেজা রাজু, আনোয়ার হোসেন উজ্জল, মোশারফ উদ্দিন খালেদ ও সেকান্দর হোসেন প্রমূখ।
র্যালিটি নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে লাভ লেইন, জুবলী রোড়, তিন পুলের মাথা হয়ে নিউ মার্কেট মোড়ে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।