পঞ্চগড়ে আদালতের নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ম মেনেই হয়েছে
পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ম মেনেই আয়োজন করা হয়েছিল দাবি আদালত কর্তৃপক্ষের। সেই সাথে কিছু পরীক্ষার্থী একজোট হয়ে পরীক্ষার দিন কেন্দ্রে প্রবেশ করে এবং প্রশ্ন ফাঁস ও অনিয়মের মিথ্যা অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করে।
সোমবার দুপুরে পঞ্চগড় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একটি কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আদালত কর্তৃপক্ষ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির সাইফুল ইসলাম।
এসময় তিনি বলেন, মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের পাঁচতলা ভবনের ৫০৪ ও ৫০৫ নম্বর রুম দুইটি তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। সময় অনেক পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারেননি। পরে জানা যায় দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিস সহায়ক ছুটিতে রয়েছেন। পরে অধ্যক্ষ ইটের তালা ভাঙতে বললে কলেজ কর্তৃপক্ষ কোন সহায়তা করেনি। এদিকে কলেজের অন্য ১২টি কক্ষে পরীক্ষা শুরু হয়ে যায় নির্ধারিত সময়ে। পরে ওই দুই রুমের পরীক্ষার্থীরা কক্ষে ঢুকতে না পেরে হট্টগোল শুরু করেন। মাঠে নেমে তারা কেন পরীক্ষা দিতে পারছেন না এজন্য আন্দোলন শুরু করেন। এসময় যারা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত পূরন করতে পারেননি এ কারণে যারা প্রবেশপত্র পায়নি তারা সহ ওই দুই রুমের ১৫০ জন পরীক্ষার্থী একজোট হয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও অনিয়মের মিথ্যা অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করে। দীর্ঘ সময় পরে নিয়োগ কমিটি উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করে পরবর্তী তারিখ ঘোষণার কথা জানান। একই সাথে ওয়েবসাইটে নোটিশ দিয়ে দেয়া হয়। পরে পরীক্ষার্থীদের আটজনের একটি প্রতিনিধি দল নিয়োগ কমিটির কাছে আসলে তাদের ৮ দফা দাবি পেশ করেন। তাদের একটি দাবি ছিল নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে আয়োজনের। যা ইতিমধ্যে বাতিল করে নিয়োগ কমিটি। ওই দুই রুমের বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে। নিয়োগ নিয়ে কমিটির অবস্থান ও বিষয়টি পরিস্কার করতেই আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যেমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।