খবরাখবর

চট্টগ্রামের শস্যভান্ডার গুমাই বিলের ফসলি জমির মাটি বিক্রির মহোৎসব

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম অঞ্চলের বৃহত্তর শস্যভান্ডারখ্যাত রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গুমাই বিলের ফসলি জমির চাষাবাদ ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে। চলছে ফসিল জমির মাটি বিক্রির মহোৎসব ফলে মাটির উর্বরা কমে পরিবেশের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃস্টি হচ্ছে।

রাঙ্গুনিয়ার কৃষি অফিসের সুত্রমতে জানাযায়, ভৌগলিক ভাবে এ বিলের উত্তর-পূর্বাংশে হোসনাবাদ ইউনিয়নের নিশ্চিন্তাপুর, কানুরখীল। উত্তরাংশে স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের আন্ন সিকদার পাড়া, ইসলামাবাদ, মজুমদারখীল। দক্ষিণে মরিয়মনগর ও চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়ন। পূর্বে বনগ্রাম এবং পশ্চিমে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা।

বৃহত্তর এ বিলের দক্ষিণাংশে কাপ্তাই রোড ও পশ্চিমে ডিসি রোড সংলগ্ন ফসিল জমি ভরাট করে তৈরি করা হচ্ছে আবাসন ও বাণিজ্যিক দালান। পূর্বাংশে গড়ে তোলা হয়েছে ইটভাটি এবং চলছে ইটেন রমরমা বানিজ্য।

সাম্প্রতি ক’ দিনধরে দেখা যাচ্ছে, এক শ্রেণীর মাটি ব্যবসায়ী ফসলি জমির মাটি স্কেভেটর দিয়ে কেটে ইট ভাটায় কাঁচামাল জোগান দিচ্ছে। গুমাই বিলের উত্তরাংশের ইসলামাবাদ ও মজুমদারখীল গ্রামের পাশের জমি থেকে স্কেভেটর দ্বারা শুরু হয়েছে মাটিকাটা। আইন অমান্যকারীরা ফসলি জমির মাটি বিক্রি করে অবৈধ অর্থ রোজগারের উপায় অবলম্বন করলেও প্রশাসনের পক্ষে কোন উদ্দ্যোগ নেয়া হচ্ছেনা। ফলে ফসলি জমির উর্বরাংশের মাটি কর্তনে ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্র রাঙ্গুনিয়ানিয়ার প্রধান ফসলি জমি ধ্বংস হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

এ ব্যাপারে প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মডেল শাখা, পৌরসভা শাখা ও রাঙ্গুনিয়া প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

গুমাইবিল ধ্বংসযজ্ঞের মহোৎসব বন্ধে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও পরিবেশ অধিদপ্তরের জরুরী হস্তক্ষেপের জোর দাবি জানাচ্ছে।

 

Please follow and like us:

Related Articles

Back to top button