রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে
সাবরিনা চৌধুরী:: ১৮৫১-১৯২০ দাসপ্রথাবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের ভোটাধিকারের দাবি ওঠে।এলিজাবেথ ক্যাডি স্ট্যান্টন ও সুজান বি অ্যান্টনি এতে নেতৃত্ব দেন। তাদের নেতৃত্বে নারীরা ভোটাধিকার পান ১৯২০ সালে।
১৯১৬ সাল, জিনেট র্যাংকিন প্রথম নারী হিসেবে কংগ্রেস সদস্য নির্বাচিত হন। মন্টানা অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধি এ নারী জয়ের পর বলেছিলেন, “আমি হয়তো কংগ্রেসের প্রথম নারী সদস্য। তবে আমিই শেষ হবো না।” হ্যা সেই থেকে শুরু আজঅবধি বিভিন্ন দেশে রাজনীতিতে নারীর ভূমিকা অনীষিকার্য।
বিভিন্নভাবে নারীরাই নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন এই সমাজ বা রাষ্ট্রে। আমারা বলতেপারি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান কন্যা শেখ হাসিনা তার জ্বলন্ত উদাহারণ।
তার হাত ধরে আসা, ফটিকছড়ি,র মেয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির সদস্য, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক, তরুণ আওয়ামী লীগ নেত্রী সাবরিনা চৌধুরী এক সাক্ষাত্কার বলেন- রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে- স্বাধীনতার অর্ধশত বছরে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান যে উন্নত হয়েছে তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
একটি দেশের উন্নয়নের অন্যতম মাপকাঠি হলো দেশটির রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সেই সঙ্গে নারীর অংশগ্রহণও। কারণ নারীর ক্ষমতায়ন হচ্ছে লিঙ্গ সমতার প্রতিচ্ছবি যা একটি দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন। এই ৫০ বছরে দেশের প্রতিটি সেক্টরে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনীতিতেও তার ব্যতিক্রম নয়।
সংসদে অতীতে শুধু সংরক্ষিত আসনে নারীদের সদস্য দেখা গেলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নারীর ক্ষমতায়নের অবদানে বর্তমানে নির্বাচিত সদস্য ও মন্ত্রীও রয়েছেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও আমরা দেখেছি চেয়ারম্যান পদে নারীর মনোনয়ন। প্রতিটি কমিটিতেও নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটিগুলোতে তার বাস্তবায়ন প্রশংসনীয়।
তবে তৃণমূলের কমিটিগুলোতে এখনো তার সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন ঘটেনি। তাই সেখানেও সেই সংখ্যা বৃদ্ধির প্রত্যাশা এখনও আমাদের রয়ে গেছে। যা পূরণ হলেই রাজনীতিতে নারীর মূল্যায়ন যথাযথ হবে।
সেই সঙ্গে ‘রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ’ বলতে শুধু নারীর অংশগ্রহণ নয়, যোগ্যতাসম্পন্ন নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতই এর মূল অর্থ। ৫০ বছর আগে মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য নারীর অবদান কম ছিল না।
তাই ৫০ বছর পর দেশের উন্নয়নে রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ ছোট করে দেখার কোন কারণ নেই। নারী ঘর ও রাজনীতি একসঙ্গে সামলানোর যোগ্যতা রাখেন। শুধু প্রয়োজন আমাদের ইতিবাচক মনস্তাত্ত্বিক চর্চা।