আমির হামজা, রাউজান:: কর্ণফুলী নদী ঘিরে দুই পাড়ে বসবাস করছেন তিন উপজেলার মানুষ একপারে রাউজান অপরপ্রান্তে বোয়ালখালী পূর্বপাশে রাঙ্গুনিয়া তিন উপজেলার মাঝ খানে রাউজানের কর্ণফুলী নদীর পাড় ঘিরে পর্যটকের অপার সম্ভাবনা বাগোয়ান ইউনিয়নের খেলার ঘাট।
প্রতিদিন বিকালে অসংখ্য পর্যটক যাচ্ছেন সেখানে। যে যার মতো করে নৌকা ভাড়া করে ঘুরে বেড়াছেন কর্ণফুলী নদীতে। উপভোগ করছেন নদীর অপার সৌন্দর্য। আর নৌকায় ভাসতে ভাসতে মনে হবে এটি কি দার্জিলিং। নদী আর সবুজ পাহাড়ের মিলনমেলায় মুহূর্তেই মন সতেজ করে দেয়।
বিশেষ করে একটি নদী ঘিরে তিন উপজেলার মানুষের বসবাস। নৌকা করে অল্প সময়ে ঘুরে দেখা যাই তিন থানার মানুষের জীবনযাপন। পাশাপাশি হওয়া কেউ কেউ আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ে তুলছেন। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পর্যটকরা ঘুরে বেড়াছেন। কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে আবার কেউ কেউ বন্ধুদের সাথে।
অনেকে প্রিয় মানুষকে নিয়েও এই এলাকার সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। আবার নিজের হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি ধারণ করে সেটি সামাজিক যোগাযোগে প্রকাশ করছেন। এককথায় খেলার ঘাটের সৌন্দর্য অসাধারণ।
বিকাল থেকে এই সৌন্দর্য উপভোগ করা যাই। সন্ধ্যা নামলে সূর্য ডুবে যাওয়া দৃশ্য খুব সুন্দর করে উপভোগ করা যাই। মাঝে মাঝে নদীর ঢেউ তীরে এসে ধাক্কা খেয়ে গানের মতো শুরু তৈরি করছেন।
আগত পর্যটকরা ঘুরেফিরে এসে নদীর পাশে চায়ের দোকানে বসে বিখ্যাত দুই, ঝাল নাস্তা, গরম গরম চা খেয়ে নদীর পাড়ে বসে বসে সময় পাড় করছেন।
আর নদীর পরন্ত বিকেলের অসাধারণ দৃশ্য গুলো উপভোগ করছেন পর্যটকরা।
তবে নদী ও মানুষের সম্পর্ক সেই যুগযুগ ধরে। যেখানে নদী সেখানে সাধারণ মানুষের বসবাস। নদীর প্রাণ প্রকৃতি ঘিরে উঠে নতুন নতুন সভ্যতা। বিশ্বের অনেক দেশেই পর্যটনের মুল আকর্ষণ তাদের নদীকে ঘিরে।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চুয়েটের শিক্ষার্থীর বলেন, আমরা ঘুরতে এসে সত্যি মুগ্ধ। রাউজানের মধ্যে এতো সুন্দর জায়গা রয়েছে কল্পনা করতে পারেনি। বিশেষ করে রাউজানের সাথে আরও দুটি উপজেলা সংযুক্ত নদীর দুই পাড়ে। আর নৌকায় ভ্রমণ করে আমাদের অনেক ভালো লেগেছে।
তবে এখনো পর্যটক বান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়নি। পর্যটক ঘিরে শুধু মাত্র কয়েকটি দোকান বসেছে। তবে পর্যটকের জন্য কাজ করা গেলে দেশের অর্থনীতির জন্য বিশাল আয়ের উৎস হবে রাউজানে উপজেলার বোগোয়ান ইউনিয়নের খেলার ঘাট।