রাউজানে কালের সাক্ষী দেড়শত বছরের জমিদার বাড়ি
আমির হামজা, রাউজান:: চট্টগ্রামের রাউজানে কালের সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে ভৈরব চন্দ্র পাল সওদাগরের সেই সময়ের পুরনো জমিদার বাড়িটি।
প্রায় দেড়শত বছরের আগে ইট, পাথর-সূড়কি গাঁথনি দিয়ে তৈরি করা হয় এই জমিদার বাড়ি। ভবনের চারিদিকে নানা শিল্পকর্ম ছড়িয়ে রয়েছে।
এই জমিদার বাড়িতে রয়েছে দূষ্টিনন্দন বিশাল
একটি দিঘী, জমিদার বাড়ির পেছনে রয়েছে বিশাল এক পুকুর সাথে পুকুরে রয়েছে রাজকীয় একটি পাকাঘাট, জমিদার বাড়ি পাশে রয়েছে একটি মন্দির। জমিদার বাড়ির দিঘীর দক্ষিণ পাশে রয়েছে মধ্যম সর্তা রামসেবক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি ১৯০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
এই জমিদার বাড়ির মালিক ভৈরব চন্দ্র পাল ব্রিটিশ আমলে এক প্রভাবশালী জমিদার হিসেবে পরিচিত
ছিলেন। রাউজান উপজেলার পশ্চিম ডাবুয়া গ্রামে অবস্থিত এই জমিদার বাড়ি।
বর্তমানে পুরনো হওয়ার কারণে এই জমিদার বাড়ির চারদিকে দেয়ালগুলো দিরে দিরে খসে পড়তে শুরু করেছে। দেড়শত বছরের এ জমিদার বাড়িটি দ্বিতীয় তলা। একসময় এ জমিদার বাড়িতে চলতো সেই সময়ের জমিদারি শাসন। এখন আর সেই শাসন বা জমিদারের লোকজন নেই শুধু আছে পরিত্যক্ত জমিদার বাড়িটি।
বিশাল জমিদার বাড়িটি এখন অনেকটাই বিলীন হয়েগেছে। এটি রাউজানের কয়েকটি পুরনো
জমিদার বাড়ির মধ্যে অন্যতম। সময় পেলে এলাকার লোকজন দেখতে যান বাড়িটি। বর্তমানে বাড়িটি ঝোপ আর জঙ্গলে পরিণত হয়ে এক ভূতুরে বাড়ির রুপ নিয়েছে।
এবিষয়ে স্থানীয় লোকজন বলেন, একসময় এ জমিদার বাড়িকে ঘিরে বসতো মেলা। মেলার পরিচিত ছিল ভৈরব সওদাগরের মেলা নামে। জমিদার বাড়িতে প্রতিরাতে বসতো নাচ আর গানের আসর। বছর বছর হতো রাজপূণ্যাহ উৎসব।
কিন্তু সময়ের মাঝে হারিয়ে গিয়েছে সবকিছু। আর সেই সাথে সংস্কার এর অভাবে বিলুপ্তি পথে কালের সাক্ষী সেই জমিদার বাড়ি।
জানা গেছে, জমিদার ভৈরব চন্দ্র পালের রাউজানের ডাবুয়া, হলদিয়া, চিকদাইর ও ফটিকছড়ির খিরাম নাম স্থানসহ বিভিন্ন এলাকায় তাঁর বিপুল সয়-সম্পর্তি রয়েছে। তবে তাঁদের বংশধররা অনেক আগে ভারতে চলে যান। দিনের পর দিন এসব ঐতিহ্যের কালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেলেও এখনো কিছু কিছু টিকে আছে দেশের নানা পান্তে।
বিএন/হামজা/বিহঙ্গ টিভি